বাংলাদেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে আইএমএফ মিশন প্রধান ডেভিড কোয়েন বলেছেন, মূল্যস্ফীতিসহ ভেতর ও বাইরের নানামুখী চাপে রয়েছে বাংলাদেশের অর্থনীতি। ইতিমধ্যে দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছে যাওয়া মূল্যস্ফীতি আরও বাড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আইএমএফ মিশন প্রধান। প্রবাসী আয় ও রপ্তানি আয়েও নেতিবাচক প্রভাবের আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।
আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশ (অ্যামচেম)-এর মধ্যাহ্ন ভোজসভায় বিষয়ভিত্তিক আলোচনার অংশ হিসেবে এ সভার আয়োজন করে। গতকাল রাজধানীর হোটেল রূপসী বাংলায় অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন অ্যামচেম সভাপতি আফতাব-উল-ইসলাম। সভায় উপস্থিত ছিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট খালেদ হাসান, নির্বাহী পরিচালক এ গফুর, আইএমএফ আবাসিক প্রতিনিধি ইতারি কেবিনট্রেজ ও সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইদুজ্জামান।
সভায় বাংলাদেশের সামপ্রতিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ডেভিড কোয়েন বলেন, জিডিপির ১০ শতাংশ হারে কর আদায় বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য মাইলফলক। সরকারি অর্থনৈতিক ব্যাবস্থাপনাসহ নানামুখী সংস্কারের ফলে বেসরকারি খাতের উন্নয়নে সুযোগ তৈরি হয়েছে- যা সমৃদ্ধ অর্থনৈতিক দেশ হবার বাংলাদেশের পথ খুলে দেবে। কোয়েন বলেন, অভ্যন্তরীণ নীতি সহায়তার সুফল হিসেবে গত অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি ছিল বেশ ভাল।
বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নের হার ও রপ্তানি আয় বেড়েছে। বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা প্রলম্বিত হওয়ায় তৈরী পোশাক খাত অতিরিক্ত বাজার সুবিধা পেয়েছে। ওষুধ, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, জাহাজ নির্মাণ এবং হালকা প্রকৌশল শিল্প নতুন রপ্তানি খাত হিসেবে যোগ হয়েছে। তবে এডিপি ব্যয় লক্ষ্যমাত্রার অনেক নিচে থাকা ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ভর্তুকি বাজেটে চাপ বাড়িয়েছে।
এসময় বিদ্যুৎ ঘাটতিও অনেকটা সহনীয় হয়ে এসেছে। তবে ঢিলেঢালা এবং দুর্বল নীতি বিদ্যমান থাকায় অর্থনীতিতে অস্থিরতা বাড়ছে। এ কারণেই উচ্চহারের মূল্যস্ফীতি এবং মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমছে। একই কারণে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় সক্ষমতা হারাচ্ছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে আন্তর্জাতিক চাপ প্রসঙ্গে আইএমএফ মিশন প্রধান বলেন, বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি ক্রমাগত বৃদ্ধি, আমদানির তুলনায় রপ্তানি কম থাকা, রেমিট্যান্স ও বিদেশী অর্থসহায়তা কমে আসায় অর্থনীতিতে চাপ বেড়েছে।
ফলে এক দশকের মধ্যে লেনদেনে ভারসাম্যে একদশকের সর্বোচ্চ হারে ঘাটতি বেড়েছে। মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ উল্লেখ করে আইএমএফ মিশন প্রধান বলেন, ইতিমধ্যে খাদ্যপণ্যের দাম দুই অঙ্কের ঘর অতিক্রম করেছে। এর দ্বিতীয় অভিঘাত হিসেবে পণ্যের দামও বেড়েছে। এসব কারণে আগামীতে মূল্যস্ফীতি আরও বেড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংকুলানমূলক মুদ্রানীতির সমালোচনা করে কোয়েন বলেন, এপ্রিলে রেকর্ড বৃদ্ধি সত্ত্বেও ব্যাংকঋণ এখন কমে এসেছে।
ডেভিড কোয়েন বলেন, অবকাঠামো দৈন্য ঘুচাতে পারলে এবং ব্যবসার পরিবেশ উন্নত করতে পারলে বাংলাদেশ দেশী-বিদেশী বিনিয়োগের জন্য চমৎকার দেশ হতে পারে। বাংলাদেশের অঞ্চলভিত্তিক রপ্তানি বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে উল্লেখ করে আইএমএফ মিশন প্রধান বলেন, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে এশিয়া বিশ্ব অর্থনীতিকে শাসন করবে।
ভৌগোলিক অবস্থানের দিক থেকে বাংলাদেশ রয়েছে সবচেয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে। পুঁজিবাজার নিয়ে এক প্রশ্নে কোয়েন বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে পুঁজিবাজারের প্রতি সার্বক্ষণিক নজর রাখছেন তারা। তবে বিষয়টি সরকারের অভ্যন্তরীণ বিষয়। মানবজমিন
আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশ (অ্যামচেম)-এর মধ্যাহ্ন ভোজসভায় বিষয়ভিত্তিক আলোচনার অংশ হিসেবে এ সভার আয়োজন করে। গতকাল রাজধানীর হোটেল রূপসী বাংলায় অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন অ্যামচেম সভাপতি আফতাব-উল-ইসলাম। সভায় উপস্থিত ছিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট খালেদ হাসান, নির্বাহী পরিচালক এ গফুর, আইএমএফ আবাসিক প্রতিনিধি ইতারি কেবিনট্রেজ ও সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইদুজ্জামান।
সভায় বাংলাদেশের সামপ্রতিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ডেভিড কোয়েন বলেন, জিডিপির ১০ শতাংশ হারে কর আদায় বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য মাইলফলক। সরকারি অর্থনৈতিক ব্যাবস্থাপনাসহ নানামুখী সংস্কারের ফলে বেসরকারি খাতের উন্নয়নে সুযোগ তৈরি হয়েছে- যা সমৃদ্ধ অর্থনৈতিক দেশ হবার বাংলাদেশের পথ খুলে দেবে। কোয়েন বলেন, অভ্যন্তরীণ নীতি সহায়তার সুফল হিসেবে গত অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি ছিল বেশ ভাল।
বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নের হার ও রপ্তানি আয় বেড়েছে। বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা প্রলম্বিত হওয়ায় তৈরী পোশাক খাত অতিরিক্ত বাজার সুবিধা পেয়েছে। ওষুধ, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, জাহাজ নির্মাণ এবং হালকা প্রকৌশল শিল্প নতুন রপ্তানি খাত হিসেবে যোগ হয়েছে। তবে এডিপি ব্যয় লক্ষ্যমাত্রার অনেক নিচে থাকা ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ভর্তুকি বাজেটে চাপ বাড়িয়েছে।
এসময় বিদ্যুৎ ঘাটতিও অনেকটা সহনীয় হয়ে এসেছে। তবে ঢিলেঢালা এবং দুর্বল নীতি বিদ্যমান থাকায় অর্থনীতিতে অস্থিরতা বাড়ছে। এ কারণেই উচ্চহারের মূল্যস্ফীতি এবং মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমছে। একই কারণে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় সক্ষমতা হারাচ্ছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে আন্তর্জাতিক চাপ প্রসঙ্গে আইএমএফ মিশন প্রধান বলেন, বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি ক্রমাগত বৃদ্ধি, আমদানির তুলনায় রপ্তানি কম থাকা, রেমিট্যান্স ও বিদেশী অর্থসহায়তা কমে আসায় অর্থনীতিতে চাপ বেড়েছে।
ফলে এক দশকের মধ্যে লেনদেনে ভারসাম্যে একদশকের সর্বোচ্চ হারে ঘাটতি বেড়েছে। মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ উল্লেখ করে আইএমএফ মিশন প্রধান বলেন, ইতিমধ্যে খাদ্যপণ্যের দাম দুই অঙ্কের ঘর অতিক্রম করেছে। এর দ্বিতীয় অভিঘাত হিসেবে পণ্যের দামও বেড়েছে। এসব কারণে আগামীতে মূল্যস্ফীতি আরও বেড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংকুলানমূলক মুদ্রানীতির সমালোচনা করে কোয়েন বলেন, এপ্রিলে রেকর্ড বৃদ্ধি সত্ত্বেও ব্যাংকঋণ এখন কমে এসেছে।
ডেভিড কোয়েন বলেন, অবকাঠামো দৈন্য ঘুচাতে পারলে এবং ব্যবসার পরিবেশ উন্নত করতে পারলে বাংলাদেশ দেশী-বিদেশী বিনিয়োগের জন্য চমৎকার দেশ হতে পারে। বাংলাদেশের অঞ্চলভিত্তিক রপ্তানি বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে উল্লেখ করে আইএমএফ মিশন প্রধান বলেন, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে এশিয়া বিশ্ব অর্থনীতিকে শাসন করবে।
ভৌগোলিক অবস্থানের দিক থেকে বাংলাদেশ রয়েছে সবচেয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে। পুঁজিবাজার নিয়ে এক প্রশ্নে কোয়েন বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে পুঁজিবাজারের প্রতি সার্বক্ষণিক নজর রাখছেন তারা। তবে বিষয়টি সরকারের অভ্যন্তরীণ বিষয়। মানবজমিন
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন